ভাব সম্প্রসারণ- পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে




পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে


প্রয়োজনীয়তাই সব আবিষ্কারের উস। মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং প্রয়োজনেই সৃষ্টি হয়েছে হাজারো পথের। এ সৃষ্টিতে পথের কোনো কৃতিত্ব নেই, সবটুকু কৃতিত্ব পথিকের। পথ না থাকলেও পথিক আসত এবং স্বীয় প্রয়োজনেই সে নতুন পথের সৃষ্টি করত।

পথ ও পথিক, এ দুটি আলাদা বস্তু হলেও পরস্পর অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। পথিক তার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় নতুন পথ সৃষ্টি করে। পথ তৈরির ক্ষেত্রে পথিকের কোনো ভূমিকা থাকে না থাকে পথিকের। কারণ পথ তৈরিতে ষোলো আনা কৃতিত্ব মানুলের, পথের নয়। পৃথিবীর জমিনে পথিক তার প্রয়োজনেই পথ সৃস্টি করে নেয়। অর্থা পথকে আবিষ্কার করে। তেমনি পৃথিবীর যাবতীয় আবিষ্কার মানুষেরই, পূর্বে উপাদান তিসেবে ছিল বিন্তু মানূষ তার নিজস্ব প্রয়োজনে করেছে সৃষ্টি, করেছে আবিষ্কার। পথ যেমন একদিনে সৃষ্টি হয় না, শত মানুলের প্রয়োজনে বারবার পদচারণা করতে করতে যেমন সৃষ্টি হয় পথের, তেমনি বহু মানুষের শ্রম, মেধা ও ওচষ্টায় সৃষ্টি হয় নতুন নতুন উপাদান, প্রয়োজনীয় আবিষ্কার। মানুষ তার প্রয়োজনে শ্বাপদসংকুল বন্ধুর জমিনকে কেটে গড়ে তুলেছে পথ, সে পথ বেয়ে এসেছে নগর সভ্যতা। তেমনি শ্রম, কর্তব্যনিষ্ঠা ও চেষ্টায় মানুল গড়ে তুলেছে সুখ-সমৃদ্ধ সভ্য জীবন। মানুষ যখনই কোনো সংকটে পড়েছে, তখনই মানুষের মনন ও শ্রম দিয়ে তা সমাধানের পথ বের করেছে। পথ বা উপায় কখনো এমনিতে সৃষ্টি হয়নি বা সুলভে মানুষের হাতে এসে ধরা দেয়নি। মানুষকেই আগে পা বাড়াতে হয়েছে, সৃষ্টি হয়েছে উপায়। এভাবেই সভ্যতার বিকীর্ণ আলোকে আলোকিত হয়েছে বিশ্ব।

প্রয়োজনে মানুষ পথ সৃষ্টি করে। গন্তব্য নির্ধারিত হলে সেখানে পৌছতেই গতানুগতিক পথে না চলে নতুন পথের সৃষ্টি করা উটিত। তবেই পথিক হিসেবে আমরা সার্থক হব।


  • কন্টেন্টটি আমাদের নিজস্ব লিখিত নয়। এটি বই থেকে সংগৃহীত।

Post a Comment

0 Comments