পাপীকে নয়, পাপকে ঘৃণা কর
পাপ-পুণ্য মিলেই এ দুনিয়া। পাপ অপবিত্র কিন্তু পাপী অপবিত্র নয়। কেননা সে পাপ দ্বরা কলুষিত। তাই পাপীকে নয় পাপকে ঘৃণা করতে হবে।
পাপ বলতে আমর অন্যায় কাজ ও অধর্মকে বুঝি। যে অন্যায় কাজ, অধর্মের কাজ করে তারা পাপী। মানুল সৃষ্টির সেরা জীব। পৃথিবীতে যখন একটি শিশু ভূমিষ্ঠ হয় তখন সে থাকে নিষ্পাপ। তার বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চাওয়া পাওয়ার প্রসার ঘটে। কিন্তু যে শিশু জন্মের পর বিরূপ পরিবেশের সম্মুখীন হয় তখন সে নিজের প্রয়োজন মেটাতে পা বাড়ায় সমাজের নিষিদ্ধ পথে। তখন বাধ্য হয়েই সে পাপী হয়। অনুকূল পরিবেশ পেলেই তার মনে সৃষ্টি হতে পারে অনুতাপের অমিয় ধারা। এ জগতে এমন অনেক উদাহরণ আছে যারা জীবনের একটি সময়ে পাপ কাজ করেছেন কিন্তু পরবর্তীতে তারাই মানবকুলের শিরোমণি হিসেবে নিজেদের স্থান নিশ্চিত করেছেন। ইসলামের দ্বিতীয়া খলিফা হজরত উমর(রা) একদিন ইসলামের নবি হজরত মুহম্মদ(স) কে হত্যার জন্য ছুটে গিয়েছিলেন কিন্তু পরবর্তীতে তিনি ইসলাম গ্রহন করেছেন। পবিত্র হাদিসে বলা হয়েছে, “তোমাদের মধ্যে কেউ কোন পাপকার্য হতে দেখলে সে যেন তার হাত দিয়ে তাতে বাঁধা দেয়, নয়তো মুখ দিয়ে তা নিষেধ করে। আর যদি তাও না পারে তবে সে যেন অন্তর দিয়ে তা ঘৃণা করে।” রাসূল(স) আমাদের পাপীকে ঘৃণা করতে বলেননি। তিনি ইসলামের পরম শত্রুদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। পাপ তাই বর্জনীয় কিন্তু পাপী নয়।
পাপীকে নয় পাপকে ঘৃনা করতে হবে। পাপীকে ক্ষমা, ভালোবাসার মাধ্যমে সুপথে ফিরিয়ে আনতে হবে।
- কন্টেন্টটি আমাদের নিজস্ব লিখিত নয়। এটি বই থেকে সংগৃহীত।
0 Comments
thanks for visiting. please comment and subscribe