ভাব সম্প্রসারণ- প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনের জনক

প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনের জনক


প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনের জনক


নতুন কোনো কিছু আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের মূল চাবিকাঠি হলো প্রয়োজন। প্রয়োজনের তাগিদেই মানুষ নিত্যনতুন উদ্ভাবনে ব্যাপৃত হয়।

সব সৃষ্টির পেছনেই একটি রহস্য বা কারণ রয়েছে। এ জগতে কোনো কিছু আকস্মিকতার সৃষ্টি নয়। একদিন আমাদের পূর্বপুরুষেরা বনে-জঙ্গলে বাস করত। চকমকি দিয়ে আগুন জ্বালাতো। বৈজ্ঞানিকের চমকপ্রদ উদ্ভাবন তখন অজ্ঞাত ছিল। মানুলের দৈনন্দিন কাজের প্রয়োজনে সভ্যতার ক্রমবিকাশ ঘটেছে। তার চিন্তাভাবনা বেড়েছে। মানুলেস প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবে বিজ্ঞানের নানা আবিষ্কার বা উদ্ভাবন ঘটেছে। কালক্রমে আগুন আবিষ্কার হলে মানুষ কাচা মাংস আগুনে ঝলসে খেতে শুরু করে। জীবজন্তুর আক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রয়োজনে মানুষ ঘর বাঁধতে শিখে এবং নারী-পুরুষ অগ্নিকে সাক্ষী করে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয় ও দাম্পত্য জীবন শুরু করে। এভাবে মানুষ প্রয়োজনে ঘর বাঁধতে শেখে এবং নারী-পুরুষ অগ্নিকে সাক্ষী করে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয় ও দাম্পত্য জীবন শুরু করে। এভাবে মানুষ সমাজবদ্ধ জীবন যাপনের শুভ সূচনা করে। তখন পুরুষেরা ফসল ফলানোর এবং নারীরা সুস্বদু রান্নার বিভিন্ন কৌশল আয়ত্ত করে ফেলে। এভাবে মানুষ ক্রমান্বয়ে প্রয়োজনের তাগিদে নগর সভ্যতার পত্তন করে এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের পথ বেয়ে বর্তমান সভ্যতা ও উন্নতির ভিত গড়ে তোলে। কালক্রমে একেক সময় একেক জিনিসের অভাবের কথা বুঝতে পেরেছে। প্রয়োজনের কথা গুরুত্বের সঙ্গে উপলব্ধি করেছে। অন্ধকার দূর করা প্রয়োজন বিধায় বিদ্যু উদ্ভাবন করেছে।

প্রয়োজন পূরণ করার তাগিদেই উদ্ভাবনের প্রক্রিয়া এগিয়ে চলে। তাই উদ্ভাবনের জনক হিসেবে প্রয়োজনীয়তাকে আখ্যায়িত করা হয়। এভাবে যখনই প্রয়োজন দেখা দেয় তখনই উদ্ভাবনের সূচনা ঘটে।


  • কন্টেন্টটি আমাদের নিজস্ব লিখিত নয়। এটি বই থেকে সংগৃহীত।

Post a Comment

0 Comments