- পাকা আম খেতে মিষ্টি লাগে কেন
- পেটে এসিডিটির জন্য এন্টাসিড খাওয়া হয় কেন
- বায়ূমণ্ডলী্য় বিজ্ঞানে রসায়নের গুরুত্ব কী
- জীবদেহে খাবার গ্রহণে কীভাবে শক্তি উৎপন্ন হয়
- গণিত শাস্ত্রের উপর রসায়নের নির্ভরশীলতা ব্যাখ্যা কর
- রসায়ন বলতে কী বোঝায়
- রসায়ন চর্চার মাধ্যমে কীভাবে মানুষের চাহিদা পুরণ হয়
- মরিচা কীভাবে তৈরী হয়
- অনুসন্ধান ও গবেষণা প্রক্রিয়ার ধাপ লিখ
- তেজস্ক্রিয় পদার্থ ব্যবহারে সতর্কতা প্রয়োজন কেন
- উদ্ভিদ ও প্রাণী মৃত্যুর পর কী হয়
- বিষাক্ত পদার্থকে আবদ্ধ অবস্থায় রাখতে হয় কেন
- প্রিজারভেটিভস কীভাবে খাদ্যকে নষ্ট হবার হাত থেকে রক্ষা করে
- আমাদের দেহের জন্য পানি প্রয়োজন কেন
- সার্বজনীন সাংকেতিক চিহ্ন বলতে কী বুঝ
- রসায়ন পরীক্ষাগারে রিসাইক্লিং গুরুত্বপূর্ণ কেন
- বিদ্যুৎ উৎপাদনে রসায়নের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর
- রসায়নকে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বলা হয় কেন
- পেঁপে পাকলে হলুদ হয় কেন
- কাঁচা ফল টক হয় কেন
- পোশাক শিল্পে রসায়ন এর গুরুত্ব কী
- আমিষকে জৈব যৈাগ বলা হয় কেন
1. পাকা আম খেতে মিষ্টি লাগে কেন
কাঁচা আমে বিভিন্ন জৈব
এসিড যেমন: সাক্সিনিক এসিড, ম্যালেয়িক এসিড ইত্যাদি থাকে বলে টক
লাগে। আম পেঁকে গেলে তাতে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজের সৃষ্টি হয়। ফলে মিষ্টি লাগে।
2. পেটে এসিডিটির জন্য এন্টাসিড খাওয়া হয় কেন
পাকস্থলীতে অতিরিক্ত
হাইড্রোক্লোরিক এসিড জমা হলে পেটে এসিডিটির সমস্যা হয়। এ সময় রোগীকে এন্টাসিড
(অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সইড, ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড অথবা
ক্ষার) খাওয়ানো হয় । তখন এন্টাসিড পেটের এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ+পানি উৎপন্ন করে, এসিডকে
প্রশমিত করে।
3. বায়ূমণ্ডলী্য় বিজ্ঞানে রসায়নের গুরুত্ব কী
বায়ূমণ্ডলী্য় বিজ্ঞানে রসায়নের গুরুত্ব
নিম্নরূপ
১. ওজোন ও ওজোন ক্ষয়কারী গ্যাসসমূহকে শনাক্ত
করার জন্য রসায়নের ভূমিকা অনেক।
২. বায়ুমন্ডলে উপস্থিত কোন গ্যাস এসিড
বৃষ্টি তৈরিতে সহায়ক তা নির্ণয়ে রসায়নের ভূমিকা রয়েছে।
4. জীবদেহে খাবার গ্রহণে কীভাবে শক্তি উৎপন্ন হয়
জীবদেহে খাবার গ্রহণে
বিপাক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি উৎপাদিত
হয়| খাদ্য দ্রব্য অক্সিজেনের উপস্থিতিতে ভেঙে সরল অণু ও শক্তিতে রূপান্তরিত
হয় |
মানবদেহের অভ্যন্তরে
নিম্নলিখিত বিক্রিয়া সংঘটিত হয়
5. গণিত শাস্ত্রের উপর রসায়নের নির্ভরশীলতা ব্যাখ্যা কর
গণিতের উপর রসায়নের নির্ভরশীলতা অত্যধিক।
গণিত ব্যতীত রসায়ন বিজ্ঞানের তত্ত্ব প্রদান করা বা তত্ত্বীয় জ্ঞানার্জন অসম্ভব।
রসায়নের হিসাব-নিকাশ,
সূত্র প্রদান ও গাণিতিক সম্পর্ক সবইতো গণিত। তাছাড়া রসায়নের একটি
গুরুত্বপুর্ণ শাখা কোয়ান্টাম ম্যাকানিকস যা মূলত গাণিতিক হিসাব-নিকাশ এর সাহায্যে
পরমাণুর গঠন ব্যাখ্যা করে। রসায়নের বিভিন্ন লেখচিত্র, জ্যামিতিক
হিসাব নিকাশ ইত্যাদি গণিতেরই অংশ।
6. রসায়ন বলতে কী বোঝায়
প্রকৃতিতে বিদ্যমান বস্তুসমূহের বিভিন্ন
ধর্মকে কাজে লাগিয়ে মানব জাতি ও পরিবেশের কল্যাণ সাধনে নিয়োজিত যে বিজ্ঞান তার
নামই হলো রসায়ন। রসায়নকে বলা হয় কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রসায়নের
উপস্থিতি সর্বত্র। গাছে ফল পাঁকা, লোহায় মরিচা পড়া, আগুন
জ্বালানো সবকিছুই রসায়ন।
7. রসায়ন চর্চার মাধ্যমে কীভাবে মানুষের চাহিদা পুরণ হয়
প্রাচীন সভ্যতায় রসায়ণ প্রযুক্তি ব্যবহার
করে খনিজ থেকে মূল্যবান ধাতু আহরণ করা হথো। রাসায়নিক প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে
সাথে আরো অনেক ধাতু,
যেমন: প্রভৃতির উৎপাদন সম্ভবপর হয়। আজ
শিল্প কারখানায় ভোজ্য তৈল,
চিচি, কাগজ, কলম,
ঔষধপত্র, কাপড় , সাবান, রড, সিমেন্ট
থেকে শুরু করে সকল জিনিস রসায়নের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে।
8.মরিচা কীভাবে তৈরী হয়
লোহা বা সাধারণ ইস্পাতের
তৈরি সামগ্রী অনেক দিন খোলা বাতাসে রেখে দিলে এর ওপরে লালচে বাদামী রঙের প্রলেপ
পড়ে। এই প্রলেপকে মরিচা বলা হয়। আর্দ্র বাতাসের সংস্পর্শে
এলে বাতাসের অক্সিজেনের সাথে লোহা বিক্রিয়া করে মরিচা সৃষ্টি করে।
9. অনুসন্ধান ও গবেষণা প্রক্রিয়ার ধাপ লিখ
অনুসন্ধান ও গবেষণা প্রক্রিয়ার ধাপ নিম্নরূপ
বিষয়বস্তু
নির্ধারণ
↓
বই
বা পুর্বের গবেষণাপত্রের সাহায্যে বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছু ধারণা করা
↓
প্রয়োজনীয়
বস্তু ও পরীক্ষা প্রণালী নির্ধারণ
↓
পরীক্ষণ
↓
ফলাফল
ও ফলাফল নিয়ে আলোচনা
10. তেজস্ক্রিয় পদার্থ ব্যবহারে সতর্কতা প্রয়োজন কেন
তেজস্ক্রিয় পদার্থসমূহ আলফা, বিটা, গামাসহ বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় রশ্মি নির্গত করে। এসব পদার্থ থেকে নির্গত
ক্ষতিকারক রশ্মি ক্যান্সারের মতো ব্যাধি সৃষ্টি করতে পারি। তাই এসব পদার্থ
ব্যবহারের সময় বিশেষ সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
11. উদ্ভিদ ও প্রাণী মৃত্যুর পর কী হয়
উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃত্যর পর দেহের পচন হয়
এবং নানা অণুজীব মাটির সাথে মিশে যায়। ভূগর্ভে তা তাপ ও চাপের প্রভাবে মাটিতে মিশে
যাওয়া পদার্থের আরও রাসায়নিক পরিবর্তন হয় এবং তা খনিজে পরিণত হয়।
12. বিষাক্ত পদার্থকে আবদ্ধ অবস্থায় রাখতে হয় কেন
মারাত্মক বিষাক্ত গ্যাসীয়, তরল বা কঠিন পদার্থের
ক্ষেত্রে বিষাক্ত পদার্থ সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এসব পদার্থ যাতে আমাদের
সংস্পর্শে না আসে তাই বিষাক্ত পদার্থকে আবদ্ধ অবস্থায় রাখতে হয়।
13. প্রিজারভেটিভস কীভাবে খাদ্যকে নষ্ট হবার হাত থেকে রক্ষা করে
প্রিজারভেটিভস নিম্নলিখিত উপায়ে খাদ্যকে
নষ্ট হবার হাত থেকে রক্ষা করে
1. খাদ্যে অম্লীয় পরিবেশ
সৃষ্টি করে পচনের হাত থেকে রক্ষা করে
2. খাদ্যকে বায়ু ও পানির
সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখে
3. এনজাইমের ক্রিয়া ব্যাহত
করার মাধ্যমে খাদ্য গুণাগুণ বজায় রাখে
14. আমাদের দেহের জন্য পানি প্রয়োজন কেন
পানি আমাদের শরীরে বিভিন্ন রাসায়নিক
বিক্রিয়ায় অংশগ্রহন করে। এটি শরীরের মধ্যে বিভিন্ন পদার্থের দ্রাবক হিসেবে কাজ কর্
শরীরে সৃষ্ট বিষাক্ত পদার্থ পানিতে দ্রবীভূত হয়ে প্রস্রাব ও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে
যায়। খাবার পানিতে পানি ছাড়াও বিভিন্ন খনিজ লবণ যেমন: ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি
ধাতুর লবণ থাকে, যা আমাদের শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী।
15. সার্বজনীন সাংকেতিক চিহ্ন বলতে কী বুঝ
রাসায়নিক পদার্থসমূহ সরবরাহ বা সংরক্ষণ করতে
হলে তার গায়ে লেবেলের সাহায্যে শ্রেণিভেদ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিহ্ন ব্যবহার করা
হয়।এ ধরণের চিহ্নই সাংকেতিক চিহ্ন। পৃথিবীর সকলদেশে একইভাবে একই উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত
হয়। তাই এগুলোকে সাংকেতিক চিহ্ন বলা হয়।
16. রসায়ন পরীক্ষাগারে রিসাইক্লিং গুরুত্বপূর্ণ কেন
রসায়ন পরীক্ষাগারে যে সকল বর্জ্য উৎপন্ন হয় সেগুলো যদি রিসাইক্লিং করা হয় তাহলে একদিকে যেমন উৎপাদনে খরচ কমবে তেমনি পরিবেশের ঝুকিঁও কম হবে। কারণ
যেকোনো রিসাইক্লিং প্রক্রিয়া জ্বালানির অপচয় রোধ হয় এবং উৎপাদনের সময়কালও কমে আসে।
তাই রসায়ন পরীক্ষাগারে রিসাইক্লিং গুরুত্বপূর্ণ।
17. বিদ্যুৎ উৎপাদনে রসায়নের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর
জারন-বিজারণ বিক্রিয়ায়
বিক্রিয়ায় ইলেকট্রন আদান-প্রদানের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় | এই
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার ব্যাখ্যা রসায়নের দ্বারাই করা সম্ভব | তাই বিদ্যুৎ উৎপাদনে রসায়নের ভূমিকা
রয়েছে।
18. রসায়নকে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বলা হয় কেন
বিজ্ঞানের সব শাখার সাথে রসায়নের নিবিঢ়
সম্পর্ক রয়েছে। মেডিকেল সাইন্সে জীবনের রহস্য বুঝকে, রোগ-ব্যাধির কারণ অনুসন্ধান, এর নিরাময় এবং পথ্য নিরূপণে রসায়ন
অগ্রণি ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও অন্যান্য সকল শাখায় রসায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে। তাই রসায়নকে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বলা হয়।
19. পেঁপে পাকলে হলুদ হয় কেন
পেঁপে যখন কাঁচা থাকে তখন জৈব এসিডের
উপস্থিতির জন্য তা সবুজ দেখায়। পরবর্তীতে জীব রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে এস্টার
জাতীয় পদার্থ সৃষ্টি হওয়ায় পেঁপে হলুদ হয়।
20. কাঁচা ফল টক হয় কেন
কাচা ফলে বিভিন্ন প্রকার
জৈব এসিড যেমন-এসিটিক এসিড, ফরমিক এসিড, টারটারিক এসিড, এসকরবিক এসিড প্রভূতি
বিদ্যমান। কোনো কোনো ফলে সামান্য পরিমাণ অজৈব এসিডও থাকে। কাচা ফলে এসিড বিদ্যমান
থাকায় pH এর মান কম হয় এবং এসিডিটি বেড়ে যায়। এসিড টক
স্বাদ যুক্ত। তাই কাচা ফল টক হয়।
21. পোশাক শিল্পে রসায়ন এর গুরুত্ব কী
পোশাক শিল্পে উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে শার্ট প্যান্ট ও উল রয়েছে।
এগুলো জৈব যৌগ ও তন্তুর সমন্বয়ে গঠিত। রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন যৌগ
থেকে তন্তুসমূহ সংগ্রহ করা হয়, যা রসায়নেরই অংশ। আবার এ
সকল কৃত্রিম বা প্রাকৃতিক তন্তুর সাথে রণ্জকের সমন্বয় করে টেক্সটাইল ফেব্রিকস
শিল্পে পোশাক তৈরি করা হয়। তন্তুর সাথে রণ্জকের সমন্বয়, তাও
রসায়ন বিজ্ঞানেরই অংশ।
22. আমিষকে জৈব যৈাগ বলা হয় কেন
আমিষ সাধারণত কার্বন ও হাইড্রজেন এর সমন্বয়ে গঠিত। কার্বন ও হাইড্রোজেন যুক্ত যৌগকে জৈব যৌগ বলা হয়।যেহেতু আমিষ কার্বন ও হাইড্রোজেন দিয়ে তৈরি তাই আমিষ কে জৈব যৌগ বলা হয়
1 Comments
good
ReplyDeletethanks for visiting. please comment and subscribe